• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি রোহিঙ্গা শিবিরে
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান।  মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি ১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান। সেখানে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সংঘটিত গণহত্যার বিষয়ে তিনি কথা বলেন।  এরপর ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন করেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এর আগে, সোমবার সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান তিনি। একইদিন দুপুরে বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে কক্সবাজারে পৌঁছান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাখাইন থেকে রোহিঙ্গা বিতাড়নে মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে কি না, সেটির তদন্ত করছে আইসিসি। তদন্তের কাজে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন আইসিসির এই প্রধান কৌঁসুলি।  রোম সনদ অনুযায়ী, রাখাইন থেকে রোহিঙ্গা বিতাড়নে মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে কি না, সেটির তদন্ত করছে আইসিসি। তদন্ত শেষে আইসিসি অভিযুক্তদের বিচারের জন্য আদালতে হাজির করে। রোম সনদের অন্যতম স্বাক্ষরকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশে কাজ করার বিষয়ে একটি সমঝোতা সই করেছে আন্তর্জাতিক এই আদালত। তবে রোম সনদে সই করেনি মিয়ানমার। আরটিভি/এমকে-টি
৫ ঘণ্টা আগে

আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম, আমাকে বাঁচান: সাবেক ওসি মাজহারুল
‘আমি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম। আমি কোনো শিক্ষার্থীকে হত্যা করিনি। আমাকে বাঁচান।’ বুধবার (২০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তাকে হাজির করা হলে এজলাস কক্ষে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলেন গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত গুলশান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম। এদিন শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ওসি মাজহারুল ইসলাম সাভার এলাকায় গণহত্যায় সম্পৃক্ত ছিলেন।’  এ সময় চিৎকার করে মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কখনো সাভারে দায়িত্ব পালন করিনি। জুলাই-আগস্টে আমি গুলশান থানায় ছিলাম। আমি গণহত্যায় জড়িত ছিলাম না।’ তখন ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘আপনি নির্দোষ হলে সুবিচার পাবেন।’ এরপর চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ভুল সংশোধন করে বলেন, ‘মাজহারুল ইসলাম আন্দোলন চলাকালে গুলশান থানার ওসি ছিলেন। তার নেতৃত্বে গুলশান প্রগতি সরণি এলাকায় গণহত্যা চালানো হয়েছে।’ এর আগে, আজ সকাল ১০টার পর পুরনো হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত ট্রাইব্যুনালে ওই আটজনকে হাজির করা হয়। তাদের সবার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের আলাদা আলাদা অভিযোগ তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ সময় আট কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ৮ কর্মকর্তা হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ছাড়া বাকি ছয় কর্মকর্তা হলেন– ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, মিরপুর ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন। গত ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে এই ৮ কর্মকর্তাকে হাজির করতে নির্দেশ দেন। পুলিশের সাবেক ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বুধবার (২০ নভেম্বর) তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে যারা গ্রেপ্তার রয়েছেন তাদের আনা হবে ট্রাইব্যুনালে। আরটিভি/এসএপি-টি
২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৫৩

এ সমাজে পুরুষ কোথায়?
আমাদের জীবনটাই হয়ে গেছে দিবসময়। আজ এই দিবস তো কাল সেই দিবস। এরই মাঝে আজ চলে এসেছে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস। যদিও আমি ব্যক্তিগতভাবে এত দিবস পালনের পক্ষে নই। কিন্তু আজ লিখতে হচ্ছে। গতকাল রাত থেকেই ইনবক্সে অনেকেই লিখেছেন, নারী দিবসে তো আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই কিন্তু পুরুষ দিবসে কেন আমাদের শুভেচ্চা জানাবেন না? এত এত মেসেজ দেখে কিছুটা বিরক্ত হলেও অবাক হইনি।  একজন অভিনেত্রী হিসাবে সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। তারা আমার কাছ থেকে শুভেচ্ছা চেয়েছেন। আমি অবশ্যই নিজের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে পৃথিবীর সব পুরুষকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। পাশাপাশি এ সমাজে পুরুষ কোথায়? এ প্রশ্নটাও তুলে রাখলাম।  কেননা আমার কাছে পুরুষ মানে পিতা, পুরুষ মানে স্বামী, পুরুষ মানে ভাই-বন্ধু-স্বজন। কিন্তু আজকের একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছি, এ সমাজে পুরুষ (মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন) কোথায়? তাদের সংখ্যা খুবই নগণ্য।  এত বসন্ত পার করেও জীবনে চলার পথে পুরুষ দেখেছি, কিন্তু মানবিক মূল্যবোধে পরিপূর্ণ, নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল পুরুষ তেমনভাবে দেখিনি। আজকে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে আমার প্রত্যাশা থাকবে, পৃথিবীর সব নারীর প্রতি পুরুষের সহনশীলতা ও শ্রদ্ধাবোধ থাকুক। তাহলেই এই সমাজে নারী-পুরুষের মধ্যে যে দূরত্ব তা সরে যাবে। একটি সমতাভিত্তিক সমাজের প্রত্যাশায় যেখানে নারী-পুরুষ সমধিকার নিয়ে চলতে পারবে।  উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর তারিখে পালিত হয়। সারা বিশ্বব্যাপী পুরুষদের মধ্যে লিঙ্গ ভিত্তিক সমতা, বালক ও পুরুষদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রধান উপলক্ষ হিসেবে এই দিবসটি উদ্‌যাপন করা হয়ে থাকে। পুরুষ দিবস পালনের প্রস্তাব প্রথম করা হয় ১৯৯৪ সালে। তবে ইতিহাস বেশ পুরোনো। ১৯২২ সাল থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নে পালন করা হতো রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে। এই দিনটি পালন করা হতো মূলত পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে। ২০০২ সালে দিবসটির নামকরণ করা হয় ‘ডিফেন্ডার অফ দ্য ফাদারল্যান্ড ডে’। রাশিয়া, ইউক্রেনসহ তখনকার সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে এই দিবসটি পালন করা হতো। বলা যায়, নারী দিবসের অনুরূপভাবেই দিবসটি পালিত হয়। ষাটের দশক থেকেই পুরুষ দিবস পালনের জন্য লেখালেখি চলছে। ১৯৬৮ সালে আমেরিকান সাংবাদিক জন পি হ্যারিস নিজের লেখায় এ দিবসটি পালনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। নব্বই দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও মাল্টায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ফেব্রুয়ারিতে পুরুষ দিবস পালনের জন্য বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। যদিও অনুষ্ঠানগুলো খুব একটা প্রচার পায়নি। অংশগ্রহণও ছিল কম। পরবর্তী সময়ে ১৯ নভেম্বর পুরো বিশ্বে পুরুষ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিশেষে বলতে চাই, আমার সোনার বাংলাদেশে সোনার পুরুষ হোক। মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন পুরুষ থাকুক। নারীর প্রতি বিদ্বেষ, হিংসা না ছড়িয়ে নিজের পরিবারে যে নারী আছে, তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন। তাহলেই এ সমাজে কোনো নারী পুরুষের লালসার শিকার হবে না। সমাজে শান্তি ফিরে আসবে। পুরুষের শক্তি সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধেই নিহিত। জয় হোক সকলের। শুভ কামনা মানবিকবোধ সম্পন্ন পুরুষদের জন্য। লেখক: অভিনয়শিল্পী   আরটিভি/ডিসিএনই  
১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল / রাষ্ট্রীয় পদ পেতে যাচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না আইনজীবী
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঁচ আসামির পক্ষে শুনানি করতে এসে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে যাচ্ছেন এমন খবরে শুনানি থেকে বিরত থেকেছেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় একাধিক প্রিজনভ্যানে করে সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। পরে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ট্রাইব্যুনালে স্থাপিত হাজতখানা থেকে এজলাসে তোলা হয় তাদের। বেলা ১১টার দিকে তিন বিচারপতি আসনে বসলে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম আদালতকে বলেন, আজ (সোমবার) আসামিপক্ষে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী শুনানি করতে এসেছেন। তবে তিনি রাষ্ট্রীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে যাচ্ছেন বলে জেনেছি। ২-১ দিনের মধ্যেই হয়তো সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করবেন। তাই তিনি আসামিপক্ষে শুনানি করলে এটা হবে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। এ সময় আইনজীবী অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজীকে আসামিপক্ষে শুনানি না করতে অনুরোধও করেন তাজুল ইসলাম। এহসানুল হক সমাজী আদালতকে বলেন, আমি এখনও ফরমাল কোনো লেটার পাইনি। ফরমাল লেটার না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে পারছি না। এ ছাড়াও যে পদে আমাকে নির্বাচিত করা হবে সেটা আমি গ্রহণ করি কি না, তা-ও ভাবার বিষয়। এ সময় বিচারক জানতে চান কোন আসামির পক্ষে তিনি এসেছেন। উত্তরে সমাজী পাঁচ আসামির নাম বলেন। পরে তিনি শুনানি না করে আরেক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলুকে দায়িত্ব দেন। প্রসঙ্গত, গত জুলাই-আগস্টে প্রথমে কোটাসংস্কার ও পরে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা ৪৬ আসামির মধ্যে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে তোলা হলো। তারা হলেন- সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, শাজাহান খান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। তবে অসুস্থ থাকায় ড. আব্দুর রাজ্জাককে আনা হয়নি। আরটিভি/কেএইচ/এস
১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:০৪

সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ
জাতীয় সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলায় ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। রোববার (১৭ নভেম্বর) ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১২ নভেম্বর প্রসিকিউশনের আবেদনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জিয়াউল আহসানকে একদিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। সেদিন চিফ প্রসিকিউটর জানান, জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যায় জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য যাচাইয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই ছয়জন নিহত হন। ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন অজ্ঞাতনামা বেশ কিছুসংখ্যক লোকের নাম দিয়ে একটি মামলা করে নিউমার্কেট থানা-পুলিশ। ওই মামলায় (শাহজাহান আলী হত্যা মামলা) পুলিশ জিয়াউল আহসানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ পায়। এরই প্রেক্ষিতে সেনা হেফাজতে থাকা জিয়াউলকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী। জিয়াউল আহসান সবশেষ এনটিএমসির মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া জিয়াউল সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার ছিলেন। ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে তিনি র‌্যাব-২-এর উপঅধিনায়ক হন। ওই বছরই তিনি পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন এবং র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পান। কর্নেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক করে তাকে র‌্যাবেই রেখে দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে জিয়াউল আহসানকে পাঠানো হয় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালকের দায়িত্বে। পরের বছরই এনটিএমসির পরিচালক করা হয় জিয়াউল আহসানকে। ২০২২ সালে সংস্থাটিতে মহাপরিচালক পদ সৃষ্টির পর তাকেই সংস্থাটির নেতৃত্বে রাখা হয়েছিল। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। রাজনৈতিক পালাবদলের পর সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে রদবদলের ধারাবাহিকতায় গত ৬ আগস্ট জিয়াউল আহসানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর ১৫ আগস্ট রাতে খিলক্ষেত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আরটিভি/এফএ-টি
১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২:০৩

১৪ হেভিওয়েট আসামিকে ট্রাইব্যুনালে তোলা হচ্ছে সোমবার
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জন হেভিওয়েট আসামিকে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সোমবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।  রোববার (১৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।  তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তোলা হবে। বর্তমানে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তারা সবাই কারাগারে রয়েছেন।  জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় যাদের ট্রাইব্যুনালে তোলা হচ্ছে, তারা হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক এলাহি, আ. রাজ্জাক, শাহজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। এর আগে, গত ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল তাদের হাজির করার আদেশ দেন।  প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। আরটিভি/আইএম-টি
১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৩৮

র‌্যাব-পুলিশসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাতজন নেতাকর্মী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে র‌্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে ভুক্তভোগীরা ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগে পৃথকভাবে এ অভিযোগ দায়ের করেন।  ভুক্তভোগীরা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম করার পর গুলি করে বা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের হাত-পা কেটে ফেলা হয়েছে। গুমের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।  এসব ঘটনায় পুলিশ, র‍্যাব ও আওয়ামী লীগের যারা জড়িত ছিল তাদের বিচারেরও দাবি করেন তারা। এ বিষয়ে ছাত্রশিবিরের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান গণমাধ্যমকে বলেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে এসব ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এখনও যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের ফিরিয়ে আনারও দাবি জানিয়েছি। তিনি আরও বলেন, যে সাতজন অভিযোগ করেছেন, তাদের মধ্যে দুজন গুম থেকে ফিরেছেন, একজন এখনও নিখোঁজ আর বাকি চারজনকে নির্যাতনের মাধ্যমে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে।  এর আগে, গুম ও নির্যাতন ইস্যুতে সবশেষ গত ৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগে করেন যশোর ও জয়পুরহাটের ৪ ছাত্র শিবির নেতা। এ ছাড়া গত ২১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে শিবিরের ৬ নেতাকর্মীও অভিযোগ দাখিল করেন।  আরটিভি/আইএম/এআর
১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৩১

আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সম্মেলনে ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
আজ থেকে রাজধানীতে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সম্মেলন। এতে ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি আলোচক, ৩০০ জন প্রতিনিধি এবং ৮০০ জন অংশ নেবেন। উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।  শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে পেয়ে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। জিল্লুর রহমান আরও বলেন, সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) গত দুই বছর ধরে বার্ষিক বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের আয়োজন করে আসছে। বিগত বছরগুলোতে এ সম্মেলন আয়োজন করতে সরকারের পক্ষ থেকে নানা বাধা দেওয়া হয়েছিল। তবে এ বছর আমরা অনেক সহযোগিতা পাচ্ছি। এটি আমাদের তৃতীয় বছর এবং আমাদের সবচেয়ে বড় আয়োজন করতে যাচ্ছি। সিজিএসের এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি আমাদের জন্য সংলাপ ও সহযোগিতার জন্য নতুন পথ উন্মুক্ত করাসহ, গণতান্ত্রিক নীতি নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করার বড় ধরনের সুযোগ তৈরি করেছে। এই সম্মেলনে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, প্রযুক্তিগত পরিবর্তন, সীমান্ত পেরিয়ে সব চ্যালেঞ্জগুলো অন্বেষণ করা হবে। তিনি বলেন আমরা বিশ্বাস করি, এ অঞ্চলের দেশগুলোর কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় এ সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষভাবে এ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে কূটনৈতিকভাবে লাভবান হবে। রাজনৈতিক, মানবাধিকার, অপতথ্য, গুজবসহ সব বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই। এ সময় সিজিএসের চেয়ার মুনিরা খান বলেন, এই সম্মেলন থেকে আমরা গণতন্ত্র, শান্তি ও মানবাধিকারসহ বৈশ্বিক বিষয়ে জানতে চাই, কথা বলতে চাই। এই সম্মেলনের এজেন্ডা জনগণের জন্য, কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। সব ধরনের সমস্যা ও তার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে চাই। পৃথিবীব্যাপী জনগণ, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, নির্বাচন, দারিদ্র্য নিয়ে কথা বলার জন্যই আমাদের এই সম্মেলন। প্রসঙ্গত, আজ থেকে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়ে চলবে আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘এ ফ্র্যাকচারড ওয়ার্ল্ড’। আরটিভি/আইএম
১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২১

যাত্রাবাড়ীতে গণহত্যা / পুলিশের ৪ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ
জুলাই-আগস্টে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর চালানো ‘গণহত্যার’ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চার পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যর ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। চার পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন রয়েছেন। গ্রেপ্তারের স্বার্থে অন্য তিন পুলিশ কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। আগামী ১২ ডিসেম্বর পুলিশকে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে বলা হয়েছে। তবে তালিকায় ডেমরা থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম আছে বলেও জানা গেছে।   ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, চারজন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে আমরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছিলাম; আদালত তা মঞ্জুর করেছেন। চারজনের মধ্যে একজনের নাম প্রকাশ করছি। তিনি হলেন যাত্রাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন। তিনি এখন পলাতক রয়েছেন। অপর তিনজনও যাত্রাবাড়ী থানায় কর্মরত ছিলেন এবং এই ‘নৃশংসতায় জড়িত’ ছিলেন বলে জানান তিনি। আরটিভি/এফএ/এসএ
১২ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:১৬

ট্রাইব্যুনালের মামলায় সাবেক আইজিপি মামুনের জবানবন্দি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় জবানবন্দি দিয়েছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে তিনি এ জবানবন্দি দেন। এটি ছিল জুলাই-আগস্টের গণহত্যা মামলায় প্রথমবারের মতো কোনো সরকারি কর্মকর্তার জবানবন্দি। গত ৩০ অক্টোবর গণমাধ্যমে খবর আসে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন গণহত্যার মামলায় রাজসাক্ষী হতে পারেন। ওই সময় কারাসূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গণহত্যার ঘটনায় পুলিশকে গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এবং এর সঙ্গে তার কোনো যোগসূত্র থাকতে পারে। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালের পরবর্তী নির্দেশনার ওপর নির্ভর করবে। এমনকি তিনি রাজসাক্ষী না হলেও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছিল। গত ৩ সেপ্টেম্বর উত্তরা থেকে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি একাধিক থানার ১৭টি মামলায় অভিযুক্ত। মামুনকে কয়েক দফায় ৬৬ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। আরটিভি/এফএ/এআর
০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়